January 23, 2025, 3:55 am

বিজ্ঞপ্তি :::
Welcome To Our Website...
শিরোনাম ::
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবের অভিনন্দন আকাশ চৌধুরী সম্পাদিত ‘বিজয় চিরন্তন’বেরিয়েছে ওসমানী হাসপাতালের নার্স আছমা আলহারামাইন থেকে বহিস্কার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবে ব্যারিষ্টার এম এ সালামের মতবিনিময় সুনামগঞ্জের গামাইরতলা সীমান্তে ভুয়া পুলিশ সহযোগী সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খাঁচাতে জনগনের কাছে তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে সঠিক ধারনা দিতে হবে: সিলেটে তথ্য সচিব সিলেটের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক শামীম “”বিদায় বেলায় ফুলেল শুভেচ্ছা সংবর্ধনা আর ভালোবাসা সিক্ত যিনি সাংবাদিক চঞ্চল মাহমুদ ফুললের সুস্থতা কামনায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবের দোয়া মাহফিল শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পুরস্কার পেলেন দক্ষ সংগঠক ও অভিনয়শিল্পী কামাল জৈন্তাপুরে বিভিন্ন কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
বর্ণিল সাজে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন শুরু আজ

বর্ণিল সাজে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন শুরু আজ

বিশেষ প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১ তম জাতীয় সম্মেলন আজ। ঐদিন বিকেল ৩ টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও উন্নয়নের ধারক আওয়ামী লীগের দু’দিনব্যাপী সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনকে ঘিরে সিলেটসহ সারাদেশে দলের নেতাকর্মীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। দলের জাতীয় এ সম্মেলনে কাউন্সিলর, ডেলিগেটসহ ৫০ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এবার বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এদিকে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে যোগদান করতে গত দু’দিনে সিলেট অঞ্চলের সহ¯্রাধিক নেতাকর্মী রাজধানীতে পাড়ি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন, নবনির্বাচিত সিলেট জেলা আ’লীগের সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন।
দলীয় সূত্রমতে, আজ বিকেল ৩টায় জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধনের পর ২৫ মিনিটের একটি উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করা হবে। সেখানে তুলে ধরা হবে আওয়ামী লীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য। এবারের জাতীয় কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের স্লোগান হচ্ছে, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে গড়তে সোনার দেশ, এগিয়ে চলেছি দুর্বার, আমরাই তো বাংলাদেশ’।
অপরদিকে, আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর অংশ নেবেন। সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন আগামীকাল শনিবার সকাল ১০ টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে সিলেটসহ সারাদেশ থেকে কাউন্সিলরদের তালিকা পৌঁছে গেছে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে। ডেলিগেট কার্ড, পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার, স্বেচ্ছাসেবক ইউনিফর্মসহ সম্মেলনের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপকরণ তৈরির কাজও শেষ। সম্মেলনের ঘোষণাপত্রও প্রস্তুত করা হয়েছে।
মঞ্চ ও সাজসজ্জা: আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের মূল মঞ্চ এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে। ১০২ ফুট দীর্ঘ, ৪০ ফুট প্রশস্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে চার সহযোগী এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের সম্মেলন। সেই একই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন। তবে মূল মঞ্চ এক হলেও সেটাকে বিশেষ পরিকল্পনায় সাজানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং মঞ্চ ও সাজসজ্জা কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এবারের সম্মেলন জাঁকজমকপূর্ণ নয়, বরং সাদামাটাভাবে আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে কোনো ধরনের সাজসজ্জা হবে না। সম্মেলনে সব মিলিয়ে ৫০ হাজার কাউন্সিলর, ডেলিগেটস ও নেতাকর্মী অংশ নেবেন।
দলীয় সূত্রমতে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৭০ বছরে ২০টি জাতীয় সম্মেলন হয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের। এর মধ্যে, সবচেয়ে বেশি ৮ বার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। আর চারবার করে সভাপতি হয়েছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম হয়। তৎসময়ে নতুন এ রাজনৈতিক দলের প্রথম সম্মেলন হয় ঢাকার ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেনে। সভাপতির দায়িত্ব পান মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক। প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরবর্তীতে তিনি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৫৩, ৫৫ এবং ৫৭ সালে দলের দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৫৭ সালেই মাওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিয়ে নতুন দল গঠন করেন। এ সময় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি হলে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর, ১৯৬৪ সালে পঞ্চম সম্মেলনে সভাপতি হন মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ আর সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৬৬ সালে ষষ্ঠ সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান। এই কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হন তাজউদ্দিন আহমদ। ১৯৬৭ এবং ৭০ সালে দলের ৭ম এবং অষ্টম সম্মেলনেও শীর্ষ দুই পদ অপরিবর্তিত থাকে।
মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর ১৯৭২ সালে অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের ৯ম সম্মেলন। সভাপতি হন বঙ্গবন্ধু আর সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন হন জিল্লুর রহমান।
১৯৭৪ সালে দশম সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু দলের দায়িত্ব ছেড়ে দিলে সভাপতি হন এএইচএম কামারুজ্জামান। আর সাধারণ সম্পাদক পদে অপরিবর্তিত থাকেন জিল্লুর রহমান।
ঘাতকদের হাতে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হবার পর ১৯৭৭ সালে অনুষ্ঠিত হয় ১১তম সম্মেলন। তৎকালিন ঐ সম্মেলনে আহ্বায়ক নির্বাচিত হন সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন।
১৯৭৮ সালে ১২তম সম্মেলনে সভাপতি হন আবদুল মালেক উকিল আর সাধারণ সম্পাদক হন আবদুর রাজ্জাক।
১৯৮১ সালের ১৩-১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় দলের ১৩তম সম্মেলন। শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ১৭ই মে দেশে ফিরে তিনি দলের দায়িত্ব নেন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আবদুর রাজ্জাক। তবে, আব্দুর রাজ্জাককে বাকশাল পুনরুজ্জীবিত করার অভিযোগে বহিষ্কার করা হলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
এরপর হওয়া সবগুলো সম্মেলনেই সভাপতি পদে অপরিবর্তিত থাকেন শেখ হাসিনা। আর ১৯৮৭ সালে ১৪তম সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
১৯৯২ এবং ৯৭ সালে পনের ও ষোলতম সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে অপরিবর্তিত থাকেন জিল্লুর রহমান। ২০০২ সালে আওয়ামী লীগের ১৭ তম সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান আব্দুল জলিল।
২০০৯ সালে ১৮তম সম্মেলনে এ দায়িত্ব পান সৈয়দ আশরাফ। ২০১২ সালের ১৯তম সম্মেলনেও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুননির্বাচিত হন আশরাফ।
এরপর, ২০১৬ সালে ২০ তম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয় ওবায়দুল কাদেরকে।
সর্বশেষ, আজ শুক্রবার শুরু হচ্ছে আওয়ামী লীগের ২১ তম সম্মেলন। সভাপতির পদ প্রশ্নাতীত হলেও সাধারণ সম্পাদক পদে কে আসতে পারেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে ব্যাপক আলোচনা। তবে, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ইতিহাস বলে দিচ্ছে, ওবায়দুল কাদেরই হতে যাচ্ছেন পুনরায় দলের সাধারণ সম্পাদক। যদি তাঁর শারীরিক অবস্থা পাহাড়ের মতো বাঁধা হয়ে না দাঁড়ায়।


Comments are closed.




© All rights reserved © sylheteralo24.com
sylheteralo24.com